বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:২২ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেক্স: ক্যাম্পাসে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ব্যানারে শোক দিবসের কর্মসূচী পালন নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। রোববার (১৪ আগস্ট) ‘চলমান অপপ্রচারের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি’ শিরোনামে তারা গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরেন।
এতে বলা হয়, শনিবার (১৩ আগস্ট) বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় অডিটোরিয়াম ভবনের সেমিনার রুমে ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বুয়েটের সাবেক নেতৃবৃন্দ’ এর ব্যানারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রয়াণ বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ১১ অক্টোবর’২০১৯ তারিখে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সব রাজনৈতিক সংগঠন এবং এর কার্যক্রম কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে নিষিদ্ধ করা হয়। বুয়েটের প্রশাসনিক আইন অনুসারে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক সব শিক্ষার্থী, প্রশাসনিক এবং একাডেমিক কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিরা সেই নিষেধাজ্ঞা মেনে চলতে বাধ্য। বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের ব্যানার দেখে বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ছাত্রকল্যাণ পরিচালককে জানান এবং কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামের সামনে অবস্থান নেন। সাংগঠনিক ছাত্র রাজনীতির পুনরুত্থানের আশঙ্কায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতিতে উত্থাপন করা হয়।
শোক দিবসের কর্মসূচিতে কোন প্রকার বাধা দেওয়া হয়নি উল্লেখ করে তারা বলেন, সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠান যথারীতি শেষ হয় এবং শিক্ষার্থীরা সেখানে কোনো রূপ বাধা দেয়নি। আমাদের বিক্ষোভের মূল উদ্দেশ্য ছিল ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের ব্যানার ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়ায় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জবাবদিহিতা আদায় করা। অতীতে বুয়েটের একাধিক শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে বিরাজমান রাজনৈতিক অপসংস্কৃতির বলি হয়েছেন। যাদের সর্বশেষ সংযোজন ছিলেন আবরার ফাহাদ। লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতির কালো থাবা আমাদের নিরাপদ ক্যাম্পাস যেন পুনরায় ত্রাসের রাজত্বে পরিণত না করতে পারে, সেই আশঙ্কার জায়গা থেকে শনিবার আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা সমবেত হই।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন প্লাটফর্মে তাদের কর্মসূচিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জোর অপপ্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে উল্লেখ করে শিক্ষার্থীরা বলেন, এসব অপপ্রচার আমাদেরকে করেছে ভীত, সন্ত্রস্ত এবং একই সঙ্গে ব্যথিত করেছে। আজকে আমরা স্পষ্টভাবে জানাতে চাই, আমাদের শনিবারের কর্মসূচি কোনভাবেই ক্যাম্পাসে আয়োজিত শোক দিবসের অনুষ্ঠান বিরোধী ছিল না। ধর্ম, বর্ণ, রাজনৈতিক পরিচয় নির্বিশেষে বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করেন। তার চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে আমরা সমৃদ্ধিময় সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সদা প্রস্তুত।